ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

১০ রানেই উধাও ৭ উইকেট

প্রকাশনার সময়: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৭ | আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৮

৩০৯ রানের জবাব দিতে নেমে ৩১ রানে উইকেট হারিয়ে বসলেও, দ্বিতীয় উইকেটে ৯৭ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেন ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহ। তবে এ দুজন ফিরতেই যেন সব শেষ! মাত্র ১০ রান যোগ করতেই বাকি ৭ উইকেট খোয়ায় আফগানিস্তান। হার মানে ১৫৫ রানের বড় ব্যবধানে।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এমন অদ্ভুত এক ঘটনার শিকার হলো হাশমতউল্লাহ শাহিদির দল।

এদিন দুপুরে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০৮ রানের বিশাল স্কোর গড়ে শ্রীলঙ্কা। জবাব দিতে নেমে ১৪৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো আফগানরা গুটিয়ে যায় ১৫৩ রানেই, ৩৩.৫ ওভারেই।

যদিও শেষের মতো শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। আফগান বোলারদের তোপের মুখে মাত্র ৩৬ রানেই দুই ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্ডো (৫) ও পাথুম নিসাঙ্কাকে (১৮) হারিয়ে বসে তারা। তবে পরের চার ব্যাটারের চারটি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসে চড়ে তিনশ ছাড়ানো ওই স্কোর পায় শ্রীলঙ্কা। এরমধ্যে অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস ৬১, সাদিরা সামারাবিক্রমা ৫২ এবং জেনিথ লিয়ানাঙ্গে ৫০ করে আউট হলেও, মাত্র ৩ রানের জন্য আক্ষেপে পোড়েন চারিথ আসালাঙ্কা।

আক্ষেপটা আরও বেশিই পোড়াচ্ছে এই বাঁহাতি ব্যাটারকে। কারণ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন তিনি, তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারটা না ছুঁয়েই। ভুলটা অবশ্য তারই ছিলো। কেননা ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে ২ রান নিয়ে পরের বলটি ডট দেন আসালাঙ্কা। পরের দুটি বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পৌঁছান ৯৬ রানে। কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরি থেকে বাঁহাতি ব্যাটার যখন মাত্র ৪টি রান দূরে, তখনও ওভার শেষ হতে দুটি বল বাকি!

কিন্তু পঞ্চম বলটি থেকে মাত্র একটি রানই আদায় করতে পারেন চারিথ। যার ফলে ৯৭ রানেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে। লঙ্কান মিডল অর্ডারের ৭৪ বলের ওই দুর্দান্ত ঝলমলে ইনিংসে ছিলো ৯টি দৃষ্টিনন্দন চারের সঙ্গে ২টি বিশাল ছয়ের মার।

অন্যদিকে, শেষ বলে হাঁকাতে গিয়ে আউট হন ১২ বলে ১৪ করা হাসারাঙ্গা। অবশ্য ব্যাট হাতে বড় কিছু দেখাতে না পারলেও, বল হাতে রীতিমত ত্রাস ছড়িয়েছেন আফগান শিবিরে। মাত্র ২৭ রানের বিনিময়ে একে একে ঝুলিতে পুরেছেন রহমত শাহ (৬৩), হাশমতুল্লাহ শাহিদি (৯), মোহাম্মদ নবি (১) ও গুলবাদিন নাইবকে (০)।

মূলত লঙ্কান এই লেগ স্পিনের মায়াবী ঘুর্ণিতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে আফগান মিডল ও লেট অর্ডার। বাকি কাজ সেরেছেন তিন পেসার দিলসান মাদুশঙ্কা (২টি), আসিথা ফার্নান্ডো (২টি) ও প্রমোদ মাদুশান (১টি)।

এই চার বোলারের দাপটেই আসলে দুইজন বাদে ক্রিজে দাঁড়াতে পারেনি আফগানদের আর কেউই। দলটির পক্ষে রহমত শাহ-ই সর্বোচ্চ স্কোর করেন। ফিফটি পেয়েছেন অন্যজনও, তিনি হলেন ইব্রাহিম জাদরান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৪ রান আসে তার উইলো থেকে।

এছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁয়েছে কেবল একজনই, আর তিনি হলেন মিস্টার এক্সট্রা (১০)। এদিকে বড় এই জয়ের ম্যাচে সেরা হয়েছেন অনবদ্য ইনিংস খেলা চারিথ আসালাঙ্কাই।

অন্যদিকে টেস্টে ১০ উইকেটে হারার পর প্রথম ওয়ানডেতে না জিতলেও অন্তত একটা ভালো ফাইট দিতে পারে আফগানিস্তান। লঙ্কানদের ৩৮১ রানের জবাবে শাহিদির দল থামে ৩৩৯ রানে। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এসে দেখা মিলল না তার ছিটেফোঁটাও।

১৫৫ রানের বিশাল হারের সঙ্গে খোয়াতে হয়েছে তিন ম্যাচের সিরিজটাও। যে কারণে শেষ ম্যাচটি এখন মেন্ডিস বাহিনীর জন্য নিতান্তই নিয়ম রক্ষার। অবশ্য সুযোগ থাকছে হোয়াইটওয়াশ করার। তবে বিশ্ব ভালোবাসার দিনে একই মাঠে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ম্যাচটি জিতে অন্তত শেষটা ভালো করতে চায় নবি-শাহিদিরা।

কেননা, এরপরেই আবার খেলতে হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ, যার ভেন্যু হিসেবে রয়েছে পয়মন্ত ডাম্বুলা!

নয়াশতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ