আজ বুধবার (৬ অক্টোবর) হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভমহালয়া বা পুণ্যলগ্ন।
সকাল থেকে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এছাড়া মহালয়ার অনুষ্ঠান করেছে গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন, শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম ও মন্দির, শ্রী রমনা কালী মন্দির ও শ্রী মা আনন্দময়ী আশ্রম, শ্রীশ্রী সিদ্ধেশ্বরী সার্বজনীন পূজা কমিটি, ধানমন্ডি সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি, উত্তরা সার্বজনীন পূজা কমিটি এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি।
মহালয়ার সাত দিন পর আগামী ৯ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটবে। ওই দিন মহাষষ্ঠী। পরদিন মহাসপ্তমী। ১৩ অক্টোবর দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে দুর্গোৎসব।
সনাতন বিশ্বাস ও পঞ্জিকামতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার দোলা বা পালকিতে চড়ে স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যলোক বা পৃথিবীতে আসবেন। যার ফল হচ্ছে মড়ক। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ ও মহামারির প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাবে। দেবী স্বর্গলোকে বিদায় নেবেন গজ বা হাতিতে চড়ে। যার ফল হিসেবে বসুন্ধরা শস্যপূর্ণা হয়ে উঠবে।
পুবাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবী দুর্গা সব অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস। পুরাণে আছে, মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোনো মানুষ বা দেবতা কখনো মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। অসীম ক্ষমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করেন এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চান।
ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব সম্মিলিতভাবে ‘মহামায়া’ রূপে অমোঘ নারীশক্তি সৃষ্টি করলেন এবং দেবতাদের ১০টি অস্ত্রে সুসজ্জিত সিংহ বাহিনী দেবী দুর্গা ৯ দিনব্যাপী যুদ্ধে মহিষাসুরকে পরাজিত ও হত্যা করেন।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ