মহেশ বাবু চেন্নাইয়ে ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা তেলুগু চলচ্চিত্র অভিনেতা কৃষ্ণ ঘাট্টামানেনি এবং মা ইন্দিরা দেবী।

মহেশ বাবু একজন ভারতীয় অভিনেতা। তেলুগুভাষী চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি সুবিখ্যাত। পারিবারিক নাম মহেশ ঘাট্টামানেনি।

বড় ভাই চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক রমেশ বাবু ঘাট্টামানেনি। পদ্মাবতী ঘাট্টামানেনি এবং অভিনেত্রী, চলচ্চিত্র প্রযোজক মঞ্জুলা ঘাট্টামানেনি মহেশ বাবুর বড় দুই বোন।

বাবার হাত ধরেই চলচিত্র জগতে প্রবেশ। মহেশ অনেকবার জানিয়েছেন ছোটবেলা থেকেই বাবা তার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের স্পৃহা জাগিয়ে তুলেন।

চলচ্চিত্রের সেট ছিলো তার খেলাঘর। সেজন্য অল্প বয়সে তিনি ক্যামেরার সামনে দাড়াতে ভয় করেন নাই। তার বড় ভাই রমেশ বাবুর প্রথম চলচ্চিত্র ‘নিদ’-এ ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করেন।

তিনি তার পিতা-কৃষ্ণ ঘাট্টামানেনি পরিচালিত সাতটি চলচ্চিত্রে শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছেন।

চেন্নাইয়ের "সেন্ট বেড়েস" বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন। তিনি চেন্নাইয়ের লয়োলা মহাবিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে সম্মান ডিগ্রি অর্জন করেন।

বলিউড অভিনেত্রী এবং সাবেক মিস ইন্ডিয়া-"নম্রতা শিরোদকর" এর সাথে পাঁচ বছর প্রেম করেন।

১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৫, মুম্বাই শহরে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুটি সন্তান। পূত্র গৌতম কৃষ্ণ জন্ম ৩১ আগস্ট ২০০৬ এবং কন্যা সিতারা জন্ম ২০ জুলাই ২০১২।

১৯৯৯ সালে রাজু কুমারুডুতে(রাজপুত্র)নায়ক চরিত্রে প্রীতি জিন্তার সহ-অভিনেতা ছিলেন। তার নিপুন অভিনয়ের ফলে ছবিটি মুক্তির পর ভক্তরা এবং গণ মাধ্যম তাকে আদর করে ‘প্রিন্স মহেশ’ডাকতে শুরু করে।

২০০৬ সালে "পকিরিতে" অভিনয় করে। দুবাইয়ে ৭ম আইআইফা এওয়ার্ডসে ছবিটির প্রিমিয়ার শো প্রদর্শিত হয়। ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্রটি তামিল, হিন্দী এবং কানাড়া ভাষায় পুনর্নিমিত হয়।

২০০৭ সালে মহেশ চলচ্চিত্র নির্মাণে সহায়তার লক্ষ্যে কাজ করেন। তরুন পরিচালক "সুরেন্দর রেড্ডির" পরিচালনায় "আথিধি" সিনেমায় অভিনয় করেন।

সামান্থা রুথ প্রভুর সাথে "দোকুদু" চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। ছবিটিতে মহেশ বাবু একজন সৎ পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেন।

২০১০ সালে তেলুগু চলচিত্রের রূপালি পর্দায় "খালেজা" নিয়ে ফিরে আসেন তিনি। প্রথম তিন দিনেই আড়াইশো কোটি রুপি আয় হয়। তিনি টুইটারে তার ভক্তদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ শুরু করেন।

Close X