ব্রণ একটি সাধারণ কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি ত্বকের রোগ। বয়স, লিঙ্গ, আবহাওয়া, খাদ্যাভ্যাস, লাইফস্টাইল, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ বিভিন্ন কারণে ব্রণ হয়। ত্বকের খুব সাধারণ এই সমস্যা দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। ব্রণ নিয়ে চিন্তিত? শীত হোক কিংবা গরম, কোনো ঋতুতেই পিছু ছাড়ছে না এই সমস্যা। তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কী করবেন?
দৈনন্দিন কিছু নিয়ম মেনে চললে ব্রণের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন। তা হলো-
ত্বক পরিষ্কার রাখুন
মুখে ব্রণ থাকলে ত্বক দিনে অন্তত দুইবার পরিষ্কার করতে হবে। এতে ছিদ্রগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার হয়। মুখ থেকে অতিরিক্ত সিবাম এবং ধুলা-ময়লা দূর হয়। এজন্য, মৃদু এবং প্রাকৃতিক উপাদানসহ একটি মাইল্ড ক্লিনজিং লোশন বেছে নিন।সঠিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
ব্রণপ্রবণ ত্বকের জন্য সঠিক ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। তৈলাক্ত ব্রণ প্রবণ ত্বকের ব্যক্তিদের লাইটওয়েট ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। এতে অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদন হয় না। এই ধরনের ময়েশ্চারাইজারগুলো আপনার ত্বককে আঠালো বা চটচটে না করেই হাইড্রেটেড রাখতে পারে।হাতের নখ ছোট রাখুন
ব্রণের সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই হাতের নখ ছোট রাখুন। কেননা হাতের নখের সংস্পর্শে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তাই হাতের নখ সব সময় ছোট রাখুন।মেকআপ ব্রাশ পরিষ্কার রাখা মেকআপ ব্রাশ, মেকআপ স্পঞ্জ অপরিষ্কার থাকলে এবং অনেক দিন ধরে সেগুলো ব্যবহার করলে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা আরও বেশি থাকে। তাই নোংরা ব্রাশ, স্পঞ্জ ভালো করে পরিষ্কার করে রাখুন। না হয় ময়লা ব্রাশ, স্পঞ্জে থাকা ব্যাকটেরিয়া আপনার ত্বকে আরও বেশি ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে।
সানস্ক্রিন ব্যবহার একটি ব্রড-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন ত্বককে সূর্য এবং দূষণের হাত থেকে রক্ষা করে। কিন্তু যাদের ত্বকে খুব ব্রণ হয় তারা ম্যাটিফাইং সানস্ক্রিন বা জেল-ভিত্তিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। জেলভিত্তিক সানস্ক্রিন খুবই লাইটওয়েট হয়, যা আপনি আপনার মেকআপের ভিত্তি হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।
মেকআপ তুলে ঘুমান ঘুমানোর আগে অবশ্যই মেকআপ অপসারণ এবং ত্বক পরিষ্কার করুন। রাতে মেকআপ করে রাখলে ত্বকের ছিদ্রগুলো আটকে যেতে পারে এবং ব্রণ-পিম্পল হতে পারে। রাতে মেকআপ অপসারণ বা মুখ পরিষ্কার করা কেবল ব্রণের হাত থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করে না, পাশাপাশি আপনার ত্বককে সুস্থ, পরিপুষ্ট এবং সতেজ রাখে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ