ঢাকা, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শীতে বিয়ে করার কথা ভাবছেন? জেনে নিন ৭ সুবিধা

প্রকাশনার সময়: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৯

শীতকাল আসলেই চারদিকে পড়ে বিয়ের ধুম। এই যেন বিয়ের ঋতু। আপনিও হয়তো মনে মনে ভেবে রেখেছেন শীতেই করবেন বিয়ে। কিন্তু কি সুবিধা শীতে বিয়ে করার জানেন?

জেনে নিন কেন শীতে বিয়ে করা উচিত-

১/ কম পরিশ্রমে কাজ: গরমের দিনে একটু পরিশ্রম করলেই হাঁপিয়ে উঠতে হয়। কত কাজই না করতে হয় বিয়েতে, এই যেমন দাওয়াত, খাওয়া-দাওয়া, প্যান্ডেলসহ কত কি ! এই কাজগুলো সবাই মিলে হাত লাগিয়ে সারতে হয়। রাত জাগা, প্রভৃতি উৎপাতে অনেক এনার্জি খরচ হয়। কিন্তু শীতকালে বিয়ে হলে সেই ভয় কমে যায়। বরং কাজ করলে শীতের অনুভূতিটা কম হয়। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করে দিতে আগ্রহী থাকে এই সময়। তাই বিয়ের জন্য শীতই পারফেক্ট মৌসুম।

২/ পাবেন লম্বা ছুট: বিয়ের জন্য বেশিরভাগ মানুষ শীতকালই বেছে নেন। কারণ তখন বেশ লম্বা ছুটি পাওয়া যায়। বেশিরভাগ স্কুলে নভেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। অতএব ছেলে-মেয়েদের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে ডিসেম্বরে স্কুল বন্ধ থাকে। এসময় তাদের সঙ্গে ছুটি মিলিয়ে বড়রাও সহজে বেড়াতে যেতে পারেন। এ সুযোগেই সব আত্মীয়স্বজন একত্রিত হতে পারেন।

৩/ সাজুন মন মতো: শীতকালে বিয়ে হলে যত খুশি সাজুন, নষ্ট হওয়ার কোন ভয় নেই। শীত বাদে বাকি সময়টায় মেকআপ লাগিয়ে সাজলে মুশকিল। একটু বেশি ঘামলেই গলে গলে পড়ে সব সাজ। এই বিড়ম্বনা বরের খুব একটা পড়তে না হলেও মুশকিলে পড়েন কনে। তাই শীতে বিয়ে করে এই মুশকিল এড়াতে পারেন।

৪/ খাওয়া দাওয়ায় নেই বাধা: শীতকালে বিয়ের বড় সুবিধা হল আরাম করে খাওয়া যায়। বিয়ের অনুষ্ঠানে সাধারণ খাবার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পোলাও, বিরিয়ানি, রোস্ট, রেজালা, মাংসের চপ। এসব গরমে খেতে হলে খাওয়া লাগে রয়ে-সয়ে। একটু এদিক-সেদিক হলেই পেটের ভেতর অস্থিরতা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু শীতকালে বিয়ে হলে সেই চিন্তা খুবই কম থাকে। এছাড়া শীতে খাবার সংরক্ষণের কোনো চাপ বা টেনশন থাকে না।

৫/ সহজল্ভ্য ডেকরেশন: বিয়ের ডেকরেশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল ফুল। শীতকালে সব ধরনের ফুল সহজলভ্য। এতে বিয়ের উৎসবকে আরও বেশি জমকালো এবং অভিজাত করে তুলে। ডালিম, রজনীগন্ধা, অর্কিড, গাঁদা, গোলাপ, জুঁই সব ধরনের ফুলের দামও কমে যায় অনেক।

৬/ বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়: শীতে বিয়ে করে সাশ্রয় করতে পারেন বিদ্যুৎ বিলে। অতিথি অভ্যাগতদের যত্নের জন্য চালাতে হয় না ফ্যান। আবার দ্রুত ঘুমানোর একটা তাড়া থাকে। তাই সব লাইট-টিভিও তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। এতে মাসিক বিদ্যুৎ বিল একেবারেই কম হবে। ৭/ মন খুলে হানিমুন: বিয়ের সাথে হানিমুন একটি আনুসাঙ্গিক বিষয়। কেও কেও তো এটা কে অত্ত্যাবশ্যকিয় অত্যাবশ্যকীয় ভাবেন। নবদম্পতির জন্য হানিমুনের জন্য সব থেকে ভালো সময় এটি। শীতকালে বিয়ে এবং এরপরে হানিমুনে ঘুরাঘুরি জমে বেশ। পরস্পরের পাশাপাশি থেকে উষ্ণতাও ভাগাভাগি করা যায়, সেই সুযোগে সঙ্গীকে চিনে নেয়া যায়, জেনে নেয়া যায়।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ