ঢাকা, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ব্যাপক হামলা, নিহত ৪১

প্রকাশনার সময়: ০৯ জুলাই ২০২৪, ১০:২৭

ইউক্রেনজুড়ে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এতে কমপক্ষে ৪১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দেড় শতাধিক মানুষ। এই হামলার সময় রাজধানী কিয়েভের প্রধান শিশু হাসপাতালেও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের ঘটনা ঘটে। গত কয়েক মাসের মধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার এটিই সবচেয়ে মারাত্মক হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ায় সোমবার (৮ জুলাই) প্রকাশ্য দিবালোকে কিয়েভের প্রধান শিশু হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে এবং ইউক্রেনজুড়ে অন্যান্য শহরগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করেছে। গত কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক এই হামলায় কমপক্ষে ৪১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

দিনের বেলা ইউক্রেনে রাশিয়ার এই ধরনের হামলা বেশ বিরল এবং বিমান হামলার পর বাবা-মায়েরা শিশুকে ধরে হাসপাতালের বাইরে রাস্তায় হাঁটছিলেন, তাদের অনেকে হতবাক হয়ে পড়েছিলেন এবং কাঁদছিলেন। হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং কিয়েভের শত শত বাসিন্দা ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে সাহায্য করেন।

৩৩ বছর বয়সী স্বিতলানা ক্রাভচেঙ্কো রয়টার্সকে বলেন, ‘হামলাটি ছিল ভীতিজনক। আমি শ্বাস নিতে পারছিলাম না, আমি আমার শিশুকে ঢেকে রাখার চেষ্টা করছিলাম। আমি তাকে এই কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম যাতে সে শ্বাস নিতে পারে।’

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের জন্য ওয়াশিংটনে যাওয়ার আগে পোল্যান্ডে যাত্রাবিরতি করেন। সেখানে তিনি বলেন, রাশিয়ার এই হামলায় তিন শিশুসহ ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে আহত হয়েছেন আরও ১৭০ জনেরও বেশি মানুষ।

তবে রয়টার্স বলছে, ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে হামলার স্থান থেকে পাওয়া নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে।

টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে লেখা এক বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, হামলায় শিশুদের হাসপাতাল এবং কিয়েভের একটি মাতৃত্ব কেন্দ্র, শিশুদের নার্সারি এবং ব্যবসায়িক কেন্দ্র ও বাড়িসহ ১০০ টিরও বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি বলেছেন, ‘রুশ সন্ত্রাসীদের অবশ্যই এর জবাব দিতে হবে। কেবল উদ্বিগ্ন হলেই সন্ত্রাস বন্ধ হয় না। সমবেদনা কোনো অস্ত্র নয়।’

ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মধ্যাঞ্চলীয় শহর ক্রিভি রিহ এবং ডিনিপ্রো ও আরও দুটি পূর্বাঞ্চলীয় শহরেও ক্ষতি হয়েছে।

এ দিকে ভয়াবহ এই হামলা ও হতাহতের পর জেলেনস্কির সরকার মঙ্গলবার শোক দিবস ঘোষণা করেছে। সরকার বলেছে, ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে জরুরিভাবে তাদের আকাশ প্রতিরক্ষার আপগ্রেড প্রয়োজন।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ