ঢাকা, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

পাপুয়া নিউগিনিতে ভয়াবহ ভূমিধসে নিহত বেড়ে ৩ শতাধিক

প্রকাশনার সময়: ২৫ মে ২০২৪, ১৩:১৭

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনিতে ভয়াবহ ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে ধ্বংস হওয়া ঘরবাড়ির সংখ্যা পৌঁছেছে ১ হাজার ১৮২টিতে।

স্থানীয় সংবাদামধ্যগুলোর বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দেশটির এঙ্গা প্রদেশে যে ভূমিধস হয়েছে, তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রদেশের ছয়টিরও বেশি গ্রাম। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাওকালাম নামের একটি গ্রাম।

কাওকালাম গ্রামের বাসিন্দা নিঙ্গা রোলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টায় ঘটেছে ভূমিধস। গভীর রাতে সবাই ঘুমিয়েছিলেন, তাই দুর্যোগের সময় অধিকাংশই বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি।

নিঙ্গা রোলে আরও জানান, প্রদেশের যেসব এলাকায় ভূমিধস হয়েছে, সেগুলো বেশ দুর্গম। প্রায় চারপাশ ঘিরে পাহাড় আর বড় বড় গাছ। ফলে যারা বেঁচে আছে এখনও তাদের সেখান থেকে বের করে আনা কঠিন।

পি নিউজ এজেন্সির সঙ্গে কথা বলার সময় জাতিসংঘের কর্মকর্তা আক্তোপ্রাক বলেছেন, ‘ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাটি প্রায় তিন থেকে চারটি ফুটবল মাঠের সমান। ’ তিনি আরো বলেন, ‘ইয়াম্বলি গ্রামে ৩ হাজার ৮৯৫ জন লোক বসবাস করেন।’

পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ভূমিধস কবলিত এলাকাটি দুর্গম এবং সেখানে উদ্ধার তৎপরতা চলাতে আমরা ইতোমধ্যে দুর্যোাগ মোকাবিলা বাহিনী, পুলিশ ও সেনাদের সমন্বয়ে একটি যৌথ দল গঠন করেছি। এছাড়া মাটির স্তূপ থেকে মরদেহ উদ্ধার, সৎকার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনা করতে সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

এদিকে এ দুর্যোগের সময় পাপুয়া নিউগিনির দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়া। শনিবার (২৫ মে) দেশটির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য দপ্তর (ডিএফএটি) থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘দুর্গতদের উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালিয়ে নিতে পাপুয়া নিউগিনির সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে সেখানকার অস্ট্রেলীয় হাই কমিশন।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ