পাপুয়া নিউগিনির প্রত্যন্ত অঞ্চল হাইল্যান্ডে অতর্কিত হামলায় কমপক্ষে ৫৩ জন প্রাণ হারিয়েছে। বিগত সপ্তাহে উপজাতীয় গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে গোলাগুলির ঘটায় এসব ব্যক্তি প্রাণ হারায়। দেশটির পুলিশের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছে।
কর্তৃপক্ষ গোষ্ঠীগুলোকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে তারা বলছেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। হাইল্যান্ডে দীর্ঘ সময় ধরে সংঘর্ষ চলছে। কিন্তু এবারের হত্যাকাণ্ড বিগত বছরের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে।
রাজধানী পোর্ট মরেসবি থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওয়াবাগ শহর থেকে পুলিশ নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার শুরু করেছে।
রয়েল পাপুয়া নিউগিনি কনস্টাবুলারি’র ভারপ্রাপ্ত সুপার জর্জ কাকাস এবিসি নিউজকে বলেন, এটিই সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ড, এর আগে এত মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়নি। এ ঘটনায় আমরা এক প্রকার বিধ্বস্ত এবং মানসিক চাপে আছি। পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ।
জমি এবং সম্পদের দখল নিয়ে দেশটির স্থানীয় উপজাতি গোষ্ঠী প্রায়ই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছে। এর ফলে গত বছরের জুলাইয়ে এ অঞ্চলে তিন মাসের জন্য লকডাউন জারি করা হয়। একই সঙ্গে পুলিশ কারফিউ জারির পাশাপাশি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সম্প্রতিক বছরে অবৈধ অস্ত্রের যোগাগ বেড়ে যাওয়ায় সহিংসতা আরও বেড়েছে, ফলে হতাহতের সংখ্যাও বাড়ছে।
গভর্নর পেটার ইপাতাস বলেন, তাদের মাঝে যুদ্ধ শুরু হতে পারে, এজন্য অতর্কিত হামলা বেড়েছে। তবে গত সপ্তাহ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
পাপুয়া নিউগিতে নিরাপত্তা বজায় রাখা খুবই কঠিন। দেশটিতে গত মাসে বড় ধরনের দাঙ্গা এবং লুটপাটের কারণে ১৫ জন নিহত হওয়ার পর সরকার জরুরি অবস্থা জারি করে।
এদিকে অস্ট্রেলিয়া দেশটির ঘনিষ্ঠ মিত্রদের একটি। তারা বলছে, এ ধরনের হত্যাকাণ্ড খুবই বিরক্তিকর। সোমবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিস এক রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলেন, আমরা পাপুয়া নিউগিতে পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
নয়া শতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ