অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করার দায়ে ইসরাইলের বিচার দাবি করেছে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর সংসদীয় ইউনিয়ন। গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসন ও বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে নজিরবিহীন বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলেও সংগঠনটির পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। বুধবার ইরানের রাজধানী তেহরানে সংগঠনটির পঞ্চম জরুরি অধিবেশন শেষে চূড়ান্ত ঘোষণায় এই দাবি জানানো হয়। খবর পার্সটুডের।
ওআইসির ঘোষণায় বলা হয়েছে, ইসরাইলকে অবশ্যই যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গাজার বেসামরিক জনগণের ওপর গণহত্যা চালানোর দায়ে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এছাড়াও ইসরাইলের এই অপরাধযজ্ঞের বিরুদ্ধে নিন্দা জানানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানানো হয় এ ঘোষণায়। পাশাপাশি ইসরাইলের চলমান আগ্রাসন দ্রুত বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
গাজায় গণহত্যা বন্ধ না হলে মুসলিম বিশ্ব আর চুপ করে থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে সংস্থাটি। এদিকে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার যে পরিকল্পনা নিয়েছে ইসরাইল, তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে ওআইসি। এর আগে গেলো বছরের ডিসেম্বর মাসে ইসরাইলি মন্ত্রী স্মোটরিচ বলেছিলেন, গাজার ২০ লাখ মানুষের মধ্যে যদি দুই লাখ রাখা হয় আর সবাইকে বহিষ্কার করা হয় তাহলে গাজা কখনো ইসরাইলের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে না।
এর একদিন পর আরেক মন্ত্রী বেন জাভির অতীতে গাজায় বসবাসরত ইহুদি নাগরিকদের আবার গাজায় ফেরার আহবান জানান। এই দুই মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পরপরই বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে। গাজার হামাস সরকার এই বক্তব্যকে অবাস্তব কল্পনা বলে উল্লেখ করেছে।
নয়াশতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ