ঢাকা, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১, ১৯ রজব ১৪৪৬

কৃত্রিমভাবে মোটাতাজা করা গরুর মাংসে স্বাস্থ্য ঝুঁকি

প্রকাশনার সময়: ১৫ জুন ২০২৪, ২০:৫৯

একদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। এই ঈদের প্রধান আকর্ষণ হলো কোরবানি। কোরবানি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন হাটে চলছে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা বেচাকেনা। রাজধানীর হাটগুলোতেও চলছে জমজমাট বাজার।

তবে আমাদের দেশের কোরবানিতে গরু প্রাধান্য পায়। গরু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মিটান অধিকাংশ মানুষ। এই সুযোগে গো খাদ্যের সঙ্গে মোটাতাজাকরণ সামগ্রী মিশিয়ে খাইয়ে গরু ফুলিয়ে ফাপিয়ে বড় করে তোলেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। বাড়তি মুনাফার আশায় গো-খাদ্যের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট ব্যবহার করে তারা। মাংসপেশীতে প্রয়োগ করে নিষিদ্ধ ইনজেকশন।

কৃত্রিমভাবে মোটাতাজা করা গরুর মাংসপেশীতে ভারতীয় ডেক্সামেথাসন ইনজেকশন প্রয়োগ করা হয়। সেইসঙ্গে খাওয়ানো হয় স্টেরয়েড গ্রুপের বিভিন্ন ট্যাবলেট। এসব অসুধ দেওয়া হলে গরু খুব শান্ত হয়ে যায়। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে না। অতিরিক্ত হরমোনের কারণে পুরো শরীরে পানি জমে মোটা দেখায়। আঙুল দিয়ে গরুর শরীরে চাপ দিলে দেবে গর্ত হয়ে যায়।

কৃত্রিমভাবে মোটাতাজা করা গরুর মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এমন গরুর মাংস মানব শরীরে নানা ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। ক্ষতিকারক ওষুধ খাওয়ানো হলে গরুর মাংস রান্নার পরও তার অবশেষ রয়ে যায়। ক্ষতিকারক ওষুধ ব্যবহার করে মোটাতাজা করা গরুর মাংস খেলে মানুষের কিডনি, লিভারসহ বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত ও রোগ দেখা দেয়ার আশঙ্কা থাকে। এসব ওষুধ তীব্র তাপেও নষ্ট হয় না। ফলে মানবদেহে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।

এছাড়া যাদের রক্তচাপ ও রক্তে সুগারের মাত্রা বিপদসীমার কাছাকাছি, তাদেরও স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায়। এগুলো খেলে নিজেদের স্বাস্থ্য নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

নয়াশতাব্দী/একে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ