কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের জন্মদিন আজ। বেঁচে থাকলে ৮৪ বছরে পা রাখতেন তিনি। ১৯৪১ সালে নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন এটিএম শামসুজ্জামান। গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার ভোলাকোটের বড়বাড়ি আর ঢাকায় থাকতেন দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনে। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার পোগোজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল ও রাজশাহীর লোকনাথ হাইস্কুলে। তার বাবা নূরুজ্জামান ছিলেন নামকরা উকিল, তিনি শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের সঙ্গে রাজনীতি করতেন।
অভিনয় দিয়ে বাংলা সিনেমার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছিলেন এ টি এম শামসুজ্জামান। শুধু চলচ্চিত্রেই নয়, টিভি পর্দায়ও সমানভাবে জনপ্রিয় তিনি। এছাড়া একাধারে তিনি নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, কাহিনিকার, সংলাপ রচয়িতা ও গল্পকার।
১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর বিষকন্যা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান এ টি এম শামসুজ্জামান। এরপর ১৯৬৫ সালে চলচ্চিত্রের জন্য প্রথমবার চিত্রনাট্য লিখেন। সিনেমার নাম ‘জলছবি’। একই বছরে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। তার প্রথম অভিনীত সিনেমা ‘নয়া জিন্দগানী’ যদিও তা মুক্তি পয়নি। প্রথমবার তাকে পর্দায় দেখা যায় ১৯৬৮ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘এতটুকু আশা’ সিনেমায়। এক খবরের কাগজ বিক্রেতার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি।
৪ শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন এ টি এম শামসুজ্জামান। চলচ্চিত্রে এটিএম শামসুজ্জামানের সম্পৃক্ততা ঘটে উদয়ন চৌধুরী পরিচালিত ‘বিশকন্যা’ ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে। এরপর কৌতুকাভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রজীবন শুরু করেন। অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পর্দায় তার আগমন ১৯৬৫ সালের দিকে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’, ‘হাজার বছর ধরে’, ‘চাঁদের মতো বউ’ প্রভৃতি। স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন কোটি দর্শকের ভালোবাসা আর পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান গুণী এ অভিনেতা।
এ টি এম শামসুজ্জামান স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন কোটি দর্শকের ভালোবাসা, একুশে পদকসহ ছয় বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান গুণী এ অভিনেতা।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ