ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বর্তমানে দেশ গঠনের দায়িত্ব তরুণ প্রজন্মের: বাকৃবি ভিসি

প্রকাশনার সময়: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৩৮

শিক্ষার্থীরা নিজেদের জীবনে শৃঙ্খলা ও নেতৃত্ব মেনে নিজের জীবন ও ক্যারিয়ার সুন্দর করে সাজাবে। বর্তমান দেশ ও পরিবারের গঠনের দায়িত্ব তরুণ প্রজন্মের। তারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে দেশ এগিয়ে যাবে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) চত্বরে অবস্থিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (কেবি) কলেজে আয়োজিত দ্বাদশ শ্রেণির বার্ষিক পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলেজ প্রাঙ্গণে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ সময় তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে অসংখ্য সুযোগ আছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কলেজ ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। আমি আশা করব, যাবতীয় খারাপ কাজ বর্জন করে বিশ্বের দরবারে আমাদের অবস্থান আরও উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাবে। আমি চাই, কেবি কলেজ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাক, এ কলেজে পড়াশোনা করা প্রতিটি ছেলে-মেয়ে যেন গর্ব করতে পারে।

কেবি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাকৃবির ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম, বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও কেবি কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার।

অনুষ্ঠানে আন্তঃসেকশন ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাকৃবি উপাচার্য। এরপর ছেলে ও মেয়েদের দাবা, ক্যারাম, দৌড়সহ বিভিন্ন আউটডোর ও ইনডোর খেলায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিজয়ীদেরও পুরস্কৃত করা হয়।

এ সময় কেবি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. আতাউর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের মননশীলতা ও শারীরিক কসরতের চর্চার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ সাহিত্য ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা কলেজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমাদের লক্ষ্য একই সঙ্গে একাডেমিক ও ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন। এ কলেজ থেকে মেডিক্যাল, বুয়েটসহ দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সাফল্যে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। এজন্য প্রতিটি শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য কাউন্সিলিং টিচার নিয়োজিত রয়েছে। সামনের কয়েক মাস শিক্ষার্থীদের জীবনের গতিপথ নির্ধারণ করবে, তাই এ সময় ফাঁকি না দিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ