রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বেড়েছে চুরির উপদ্রব। শিক্ষার্থীরা অভিযোগপত্র জমা দিয়েও মিলছে না কোনো সুরাহা।
সম্প্রতি একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। আগে চুরির ঘটনা ক্যাম্পাসের ভিতরে তেমন দেখা না পাওয়া গেলেও গত ১ মাসে কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই মাসে কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে দুটি সাইকেল এবং একাডেমিক বিল্ডিং ৪ থেকে একটা মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে।
এর আগে গত মাসে ২০ সেপ্টেম্বর একটি সাইকেল চুরি হয়। প্রতিটি চুরি হয়ে যাবার পর শিক্ষার্থীরা অভিযোগপত্র জমা দিলেও তেমন কোনো প্রতিকার দৃশ্যমান হচ্ছে না। সিসিটিভির ফুটেজ থাকলেও চোর থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এ বিষয়ে একাধিক ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার দিকে জোরদার করতে হবে, সিসিটিভি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। বহিরাগত টোকাই ক্যাম্পাসে না প্রবেশ করতে পারে। যথাযথভাবে চোরদের শনাক্ত করে জনসম্মুখে পুলিশের হাতে দিতে হবে, যাতে অন্য চোর ও বুঝতে পারে যে চুরি করা যাবে না।
তারা জানান, প্রক্টর, প্রভোস্টের এবং প্রশাসনের অবহেলায় এসব চোর শনাক্ত করা কঠিন হয়ে যায়। সর্বশেষ আমরা নিরাপদ টোকাইমুক্ত ক্যাম্পাস চাই। বহিরাগতদের নিষিদ্ধ করতে হবে, তাদের সাথে গেটে কথা বললেই বুঝা যাবে তারা ক্যাম্পাসের কিনা, (যারা গেটের দায়িত্বে থাকবে তারা বলবে যাদের সন্দেহ মনে হবে)। তা ছাড়া সিসি ক্যামেরা তেমন কাজ এ আসে না, সিসি ক্যামেরা বেশি এবং ভালো করা লাগবে। প্রশাসন এবং পুলিশ পরস্পর কাজ করতে হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমান বলেন, আজকে (গতকাল) থেকে মসজিদে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। একটা আনসার থাকবে মসজিদের সামনে।
তিনি আরও বলেন, চোর কে ধরার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছি। যে চোর ধরতে পারবে তাকে পুরুস্কার দেওয়া হবে। এই সকল চুরির পিছনে একটা চোর কাজ করতেছে। আমরা তাকে ধরার জন্য সকল ধরনের চেষ্টা করতেছি।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ