ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাবিতে অছাত্রদের হল থেকে বের করাসহ ৫ দফা দাবিতে মিছিল

প্রকাশনার সময়: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩২

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অছাত্রদের হল থেকে বের করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে মশাল মিছিল করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সংগঠন 'নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ'।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে একটি মশাল মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা ও নতুন প্রশাসনিক ভবন ঘুরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- জাবিতে সম্প্রতি সংঘটিত ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ও সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান ও প্রাধ্যক্ষ সাব্বির আলমের পদত্যাগ, যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত পাবলিক হেল্থ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির অব্যাহতি দেওয়া এবং ক্যাম্পাসে মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব জামানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু।

তিনি বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক বাণিজ্যের জায়গা হয়ে গেছে। তারই সূত্র ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে অপকর্ম ঘটছে। অপকর্ম রোধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তারা এখনো বহাল তবিয়তে চেয়ারে বসে আছে। ছাত্রদের রেজাল্ট খারাপ হওয়ার পিছনে গণরুম, এখানে থাকা শিক্ষার্থীরাই পরবর্তীতে মাদক সিন্ডিকেট থেকে শুরু করে নানা ধরণের অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিস্থিতির জন্য কোনোভাবেই সুখকর নয় বরং এটি আমাদের জন্য লজ্জাকর।'

নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিহা বলেন,'বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনি যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার বিচার হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসন হাতে হাত রেখে হাঁটছে। রাষ্ট্রের মতো বিশ্ববিদ্যালয়েও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো জাকসু নির্বাচন হয়নি, নিপীড়ন ও অপকর্মের মতো নানা ঘটনার বিচার হয়নি।'

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন,'আমি এখনো পুরোপুরি সফল হতে পারিনি, তবে আমি চেষ্টা করছি। আমার জানামতে, কোনো হলে এখন আর গণরুম নেই। যারা অছাত্র তাদেরকে বের করে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে আসন দেওয়া হয়েছে। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি অছাত্রদের বের করার। আশা করি আগামী এক-দুদিনের মধ্যে সকল অছাত্র বিতাড়িত করা হবে।'

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ