ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দেশে ফ্যাসিবাদের জন্ম দিয়েছে শেখ মুজিব: মির্জা ফখরুল

প্রকাশনার সময়: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:৫১

এই দেশে ফ্যাসিবাদের জন্ম দিয়েছে শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত ফ্যাসিবাদ রাষ্ট্র কায়েম করেছিল এই শেখ মুজিব এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

দীর্ঘ ১৪ বছর পর চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল ময়দানে সম্মেলন উদ্বোধন করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ কখনই গণতান্ত্রিক দল ছিল না। তারা ফ্যাসিবাদী দল। তাদের বডি কেমেস্ট্রিতে গণতন্ত্র নেই। পুরোটাই তারা ফ্যাসিবাদী। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ এই সময় ফ্যাসিবাদের জন্ম দেন শেখ মুজিব। তাই এই দেশে ফ্যাসিবাদের জনক শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, চায়ের দোকানে বা রেস্টুরেন্টে দেখবেন টেবিল চাপড়ে যে সবচেয়ে জোর করে কথা বলছেন, কাউকে কথা বলতে দিচ্ছেন না, তিনি হচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এমনই।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, গত ১৬ বছরে কোথাও কুপিয়ে কোথাও গুলি করে হত্যা করে গুম করেছে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া পুলিশকে ব্যবহার করেও হত্যা করা হয়েছে। গায়েবি মামলা দেয়া হয়েছে। পুলিশকে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, তা কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সম্ভব নয়।

এর আগে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফের পরিচালনায় এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর কাউন্সিলরদের গোপন ভোটে জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা নির্বাচিত হবেন। সর্বশেষ ১৯৯৯ ও ২০১০ সালে জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সম্মেলন উপলক্ষে সকাল ৯টা থেকেই ডেলিগেট, কাউন্সিলর ও আমন্ত্রিত অতিথিরা আসতে থাকেন। সকাল ১০টার মধ্যে সম্মেলনস্থল টাউন ফুটবল ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। বেলা পৌনে ১১টার দিকে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতারা মঞ্চে আসন গ্রহণের পর জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) পক্ষ থেকে দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারী হেলাল, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুণ ও সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ।

বিভিন্ন সময় আন্দোলন-সংগ্রামে নিহত দলের নেতা-কর্মীদের স্মরণে মঞ্চে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ওয়াহেদুজ্জামান। সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ছাত্র-জনতা, বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের প্রয়াত সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়। পরে সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার আবদুল জব্বার।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম এ তালহা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ জাহান খান, সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা, জাসাস চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবীব, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ, জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রউফুন নাহার, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক তবারক আলী। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেলা বিএনপির সম্মেলন।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ