ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তাড়াশে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১০ ইউপি সদস্যের অনাস্থা

প্রকাশনার সময়: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:৪৩ | আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:৫০

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তালম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার দাপটে উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ লুট, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বজনপ্রীতি ও ঘুষ-দুর্নীতিসহ নানা অনিয়ম‌, পাশাপাশি বিচার সালিশের নামে বিচার প্রার্থীদের কাছ থেকে লুটে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। আর এসব অভিযোগ এনে তারই ১০ জন ইউপি সদস্য অনাস্থা এনেছেন।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা বরাবর ১০ জন ইউপি সদস্য স্বাক্ষরিত লিখিত অনাস্থা প্রস্তাবটি দাখিল করা হয়। একই সঙ্গে ওই অনাস্থার অনুলিপি পাঠানো হয় সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর।

তালম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন, তালম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আব্দুস সালাম, মো. গোলাম মোস্তফা, মো. আব্দুল আজিজ, মোছা. চায়না খাতুন, মো. নাজির উদ্দিন, মো. আরিফুল ইসলাম, মো. মোখলেছুর রহমান, মোছা. সালমা খাতুন, মো. আব্দুল লতিফ এবং মো. রুহুল আমিন।

লিখিত অনাস্থা প্রস্তাবে ইউপি সদস্যরা উল্লেখ করেছেন, আব্দুল খালেক নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই সরকারি স্থানীয় সরকার বিধি বিধান না মেনে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। তিনি দীর্ঘ আড়াই বছরের বেশি সময়ে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ইউপি সদস্যগণের সম্মানী ভাতা প্রদান করেন না। বিগত অর্থ বছরের স্থানীয় ইউপি ট্যাক্স, ভূমি উন্নয়ন কর ও ট্রেড লাইসেন্স থেকে প্রাপ্ত অর্থ এবং উপজেলা থেকে প্রাপ্ত অর্থ কোনো প্রকার উন্নয়ন কাজ না করে আত্মসাৎ করে আসছেন।

এমনকি ইউনিয়ন উন্নয়ন সহায়তা তহবিল, কাবিখা, কাবিটা, টিআর, এডিপির প্রকল্পগুলো বিধি বহির্ভূতভাবে একক সিদ্ধান্তে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজেই আংশিক বাস্তবায়ন অথবা অনেক ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন না করেই প্রকল্পগুলোর লাখ লাখ টাকা লুটেছেন। তা ছাড়াও বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও মাতৃকালীন ভাতা কোন প্রকার রেজুলেশন না করে নিজের পছন্দমত ব্যক্তিগণের নাম সুপারিশ করে উপজেলায় প্রেরণ করে অঢেল টাকা কামিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে তালম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল খালেক বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে কেউ অভিযোগ দিতেই পারে। সঠিক তদন্ত করলে আমার কোনো দুর্নীতির প্রমাণ পাবে না। আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা বলেন, তালম ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যদের আনিত অনাস্থার চিঠিটি পেয়েছি। এ ব্যাপারে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ