বকেয়া পাওনাদির দাবিতে আশুলিয়ার বাইপালে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ৩০ ঘণ্টা ধরে অবরোধ করে রেখেছেন শ্রমিকরা। কোনোভাবেই বুঝিয়ে সড়ক থেকে শ্রমিকদের সরাতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ফলে চরম আকার ধারণ করেছে জনদুর্ভোগ।
শ্রমিকদের সড়ক অবরোধের কারণে এ সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ আছে। দূরপাল্লার পরিবহন, পণ্যবাহী ট্রাক, ছোট বড় অন্যান্য গাড়ি আটকা পড়ে সড়কে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে গতকাল সকাল থেকে আজ অব্দি। এমন ভোগান্তিতে নাভিশ্বাস জনজীবন।
আজ সকালে দেখা যায়, সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে রেখেছে। রাতে বৃষ্টিতে ভিজেও বাসায় যায়নি
তারা। আজ মধ্যাহ্ন বিরতির পর সুষ্ঠু সমাধান না পেলে কঠোর আন্দলোনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানান, কারখানা বন্ধ করে দেয়ায় অনেক শ্রমিক বাসা বাড়ি ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছিন। সোমবার পাওনাদি বুঝিয়ে দেয়ার সময় দেয়ায় তারা গ্রাম থেকে এসেছেন। এসে দেখেন কারখানা গেটে তিন মাসের সময় চেয়ে নোটিশ লাগিয়েছে। ফলে তারা হতাশ হয়ে সড়ক অবরোধ করেছন। যতক্ষণ তাদের পাওনাদি বুঝে না পাবেন ততক্ষণ সড়কেই থাকবে বলে।
গতকাল থেকে আজ অব্দি সড়ক অবরোধ করে রাখলেও মালিক পক্ষ, পুলিশ সেনাবাহিনী কোনো সুরাহা করতে পারেনি বলে অভিযোগ শ্রমিকদের।
অঞ্জনা আক্তার বলেন, গতকাল থেকে আমরা রাস্তাই আছি, রাতে বৃষ্টিতে ভিজেছি। তবুও বাসায় যাইনি। আমরা এখনো ধর্য ধরে আছি, আজ দুপুরের পর থেকে হয়তো আমরা কঠোর হতে বধ্য হব। কোম্পানি আমাদের পাওনাদি না দিয়ে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা না খেয়ে রোদ বৃষ্টিতে রাস্তায় পড়ে আছি। ঘর ভাড়া দিতে পারছি না। বাড়িওলারা আমাদের থাকতে দিচ্ছে না। অনেকে বাসা ছেড়ে দিয়েছে। এখন আমাদের রাস্তা ছাড়া কোনো পথ নেই।
২৮ আগস্ট আশুলিয়ার বার্ডস গ্রুপের চারটি কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হয়। গতকাল শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধের কথা ছিল। তবে শ্রমিকরা সকালে কারখানার সামনে এসে দেখেন, কারখানা ফটকে পাওনাদি পরিশোধের সময়সীমা তিন মাস বৃদ্ধি-সংক্রান্ত নোটিশ লাগিয়ে রেখেছে মালিকপক্ষ। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন তারা।
তবে শিল্পাঞ্চলে এখন পর্যন্ত কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। সার্বিক পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাড়তি নজরদারি রয়েছে।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ