নারায়ণঞ্জের রূপগঞ্জে দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় এক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলাকারী প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দিয়ে জমির দলিলপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে ফেলে। এ ঘটনায় জড়িত ইউনিয়ন যুবদলের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কর করা হয়। উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইছাপুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী জজ মিয়া জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় জমি কেনাবেচার ব্যবসা করে আসছেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করার পর ঈর্ষান্বিত হয়ে স্থানীয় সালফারাজসহ তার সযোগীরা তার কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা না পেয়ে ৬ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মেসার্স জজ প্রাইজে লিটন, রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালফারাজ, রাসেল, রানা , যুবরাজসহ ২৪ জন দেশি অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। অফিসে ব্যাপক ভাঙচুরসহ আলমারি ভেঙে নগদ ৫২ হাজার টাকা, অফিসে থাকা বিভিন্ন আসবাপত্র লুটে নেয়। একপর্যায়ে আলমারিতে থাকা শতাধিক বিভিন্ন জমির দলিলপত্রসহ জরুরি মূল্যবান কাগজপত্র অফিসের বাইরে নিয়ে প্রকাশ্য আগুনে পুড়ে ফেলে। পরবর্তীতে ৮ আগস্ট ফের জজ মিয়ার নিজ বাড়িতে গিয়ে সালফারাজসহ ওিই ব্যক্তিরা ১ লাখ টাকা চাদা দাবি করেন। অন্যথায় তাদের বড় ধরনের ক্ষতি করা হবে বলে হুমকি প্রদান করেন।
এ সময় এলাবাসী জড়ো হলে সালফারাজসহ বাকিরা এলাবাসীর ওপর হামলা চালায়। পরে খবর পেয়ে টহলরত সেনাবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে সালফারাজকে আটক। পরে রাতে তাকে মুচলেখা দিয়ে পরিবারের কাছে হন্তান্তর করেন। এ ঘটনায় দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে রূপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বয়ক ও সদস্য সচিব সালফারাজকে দল থেতে গত রবিবার রাতে সাময়িক বহিস্কার করেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে ব্যবসায়ী ও তার পরিবারের লোকজন।
উপজেলা যুবদলে ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আমিনুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, বিএনপি কোন সহিংসতার রাজনীতি পছন্দ করেন না। যারা করেন তাদের কাউকে প্রশ্রয় দেয় না। রূপগঞ্জ ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিভিন্ন অপকর্ম করছে বলে আমাদের কাছে সংবাদ আছে। তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। তাকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ