ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মহররম ১৪৪৬

সুনামগঞ্জে ২০০ কোটি টাকার গোখাদ্য মজুদ

প্রকাশনার সময়: ১৫ মে ২০২৪, ১৩:০৮ | আপডেট: ১৫ মে ২০২৪, ১৬:৫৫

চলতি বছরে বোরো ধানের খড় সংগ্রহ করে প্রায় ২০০ কোটি টাকার গোখাদ্য সংগ্রহ করেছেন সুনামগঞ্জ জেলার বাসিন্দারা। পুরোপুরি ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর পর গোখাদ্য বাড়িতে উঠানো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন কৃষকরা। দিনভর মাথায় খড় বোঝাই করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন তারা ৷ আর এসব মজুত খড়ে বর্ষায় গবাদিপশুর খাবারের চাহিদা মেটাবে।

জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বোরো ধানের উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবার জেলায় সাড়ে ৪ লাখ মেট্রিক টন খড় সংগ্রহ হয়েছে। এর বাজার মূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। যা দিয়ে বর্ষা মৌসুমে জেলার ৫ লক্ষাধিক গরু, মহিষ, ১ লাখ ৩৫ হাজার ভেড়া ও ৫২ হাজার ছাগলসহ ১ লক্ষাধিক অন্যান্য গবাদি পশুর খাদ্যের যোগান দেয়া সম্ভব হবে বলে জানান তারা। এটা পশু পালনে সহায়ক হওয়ায় সার্বিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছে দপ্তর সংশ্লিষ্টরা।

কৃষকরা জানিয়েছেন, শুষ্ক মৌসুমে হাওরের গো চারণ ভূমিতে গৃহ পালিত গরু, মহিষ, ছাগলসহ অন্যান্য গবাদি পশুর ঘাসের সংস্থান হলেও বর্ষা মৌসুমে এই অঞ্চলে এগুলোকে বাড়িতে আবদ্ধ রাখতে হয়। এ সময় ধানের মজুদকৃত খড়ই গোখাদ্যের যোগান দিয়ে থাকে। এবার ধানের ফলনের সঙ্গে সঙ্গে খড়ের উৎপাদন বেশি হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।

এদিকে, সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওর নিকটবর্তী গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, শতভাগ ধান কাটার পর বেশিরভাগ কৃষক গবাদি পশুর জন্য খড় সংগ্রহ সম্পন্ন করেছেন। বাড়ির আঙ্গিনায় আঙ্গিনায় খড়ের ‘লাছি’ বা ‘ভোলা’ (খড়ের গাদা) দেখা যাচ্ছে।

তাহিরপুর উপজেলার পাঠাবুকা গ্রামের সাইকুল ইসলাম বলেন, ধান ঘরে তুলার সাথে সাথে আমরা খড় সংগ্রহ করার কাজে ব্যস্ত হয়ে পরি। গ্রামের বেশিরভাগ পরিবার তাদের গরু মহিষের জন্য খড় সংগ্রহ করে ফেলেছেন। বাড়িতে বাড়িতে খড়ের ‘লাছি’। অনেক বছর পর এবার শান্তিতে মানুষ ধান ও খড় তুলেছেন। ধানের সাথে গো খাদ্য খড় তুলতে পেরে গ্রামের ঘরে ঘরে এখন স্বস্তির পরিবেশ বিরাজ করছে।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দূর্গপূর গ্রামের বাসিন্দা ফজলু মিয়া বলেন, এবার ধানের ফলন ভালো হওয়ায় খড়ও বেশি হয়েছে। এই খড়েই সারা বছর গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

সুনামগঞ্জ জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিগত অনেক বছরে এবার মানুষ শান্তিতে ধান ও খড় ঘরে তুলতে পেরেছেন। হাওর এলাকায় এখন উৎসব বিরাজ করছে। অনুকূল আবহাওয়ায় এবার ভালোভাবে খড় শুকাতে পেরেছেন তারা। খড়ের মানও ভালো বলে জানান তিনি।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ