ঢাকা, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

পছন্দের মসজিদে ঈদের জামাত না করায় অপর মসজিদে ভাঙচুর!

প্রকাশনার সময়: ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১২ | আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১৯

পছন্দের মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় না করায়, পাশের এলাকার জামে মসজিদে ঈদের জামাত আয়োজন সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ওই মসজিদে ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ঈদের দিন (১১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া ডেইঙ্গাপাড়া জামে সমজিদে ওই ঘটনা ঘটে।

ডেইঙ্গাপাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মৌলানা নুরুর হক জানান, রামুর ঐতিহ্যবাহী চাকমারকুল আল-জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা-মসজিদে প্রতিবছর ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তবে এবারের ঈদে ওই মসজিদে নামাজ পড়তে না গিয়ে, পাশের ডেইঙ্গাপাড়া জামে মসজিদে ঈদের জামাত আয়োজন করে এলাকাবাসী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় কবির মেম্বারের ছেলে আলমগীর, রফিক আহম্মদের ছেলে ছলিম ও নুর আহমদের ছেলে মনির আলম মদ্যপ অবস্থায় মসজিদে ঢুকে হামলা চালিয়ে গেটসহ তোরণ ভাঙচুর করে এবং নানা ধরনের হুমকি দেয়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে পড়লে অপরাধীরা পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, ডেইঙ্গাপাড়া জামে মসজিদের নির্ধারিত ইমাম-মুসল্লিরা এশার নামাজ শেষে চলে যায়। এসময় আলমগীনসহ অন্যরা মদ্যপ অবস্থায় এসে গালিগালাজ করার পাশাপাশি ভাঙচুর চালায়। এতে মসজিদের গেট-তোরণসহ বেশ কয়েকটি জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান বলেন, ডেইঙ্গাপাড়া এলাকাটি আমার ইউনিয়নের শেষ অংশে পড়েছে। যুগ যুগ ধরে এলাকার মানুষ ওই জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে বহু অপকর্মের হোতা আলমগীর, সেলিম ও মনির আলমসহ একটি চক্র ঈদের জামাত আয়োজনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছে। ঈদের দিন মসজিদে ঈদের জামাত আয়োজন করা ও তাদের অনুসারীদের পরিচালিত চাকমারকুল মসজিদে নামাজ আদায় করতে না যাওয়ায়, রাতে ডেইঙ্গাপাড়া মসজিদে ভাঙচুর চালায় তারা।

এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে চেয়ারম্যান টিপু সুলতান আরও বলেন, দীর্ঘদির ধরে আলমগীরের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। সে সুদের ব্যবসা, পরিবেশ বিধ্বংসী কার্মকাণ্ডসহ বহু অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।

এসময় ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান ইউপি চেয়ারম্যান।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন জানিয়ে কক্সবাজার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ওইদিন সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ বিষয়ে থানায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নয়াশতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ