লক্ষ্মীপুরে পুলিশের চাকরি দেওয়ার নামে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানান ভুক্তভোগী।

এর আগে টাকা দিয়ে প্রতারিত হওয়া যুবক বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন ইউএনও'র কার্যালয়ে। হামাগুড়ি দেন মেঝেতে।

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সদর উপজেলার ১৮ নং কুশাখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন মানিক।

ভুক্তভোগী যুবক ওই ইউনিয়নের নলডগি গ্রামের রিক্সা চালক সেকান্তর মিয়ার ছেলে হাফিজ উল্লাহ। তিনি ৭ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ (চকিদার) চাকরি প্রত্যাশী ছিলেন।

হাফিজ উল্লাহ বলেন, কুশাখালীর চেয়ারম্যান চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমার থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়েছেন। চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রও নিয়েছেন তিনি। কিন্তু আমাকে চাকরি দেয়নি। চাকরি কিভাবে দিবেন। ওনি আমার চাকরির আবেদনই করেননি।

ভুক্তভোগী আরও বলেন, অপর প্রার্থীর থেকে আরও বেশি টাকা নিয়ে তার আবেদন জমা দিয়েছেন। প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি ইউএনওকে জানানো হয়েছে। তিনি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন। গ্রাম পুলিশ নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে আমি চেয়ারম্যানের কাছে আমার বিষয়টি জানতে চাই। তখন এই নিয়োগটি বাতিল করে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার কথা জানান তিনি। তবে টাকা ফেরত দেওয়ার বা কবে পুনরায় নিয়োগ দেওয়া হবে, তার কোনো উত্তর তিনি দেয়নি।

হাফিজ উল্লাহ আরও বলেন, আমি গরিব মানুষ। রিকশা চালিয়ে ও দিনমজুরি দিয়ে সংসার চালাই। চেয়ারম্যানের কথায় গরু ও রিকশা বিক্রি করে এবং ঋণ নিয়ে টাকা দিয়েছি। এখন আমার চাকরি হয়নি আবার চেয়ারম্যান টাকাও ফেরত দেয়নি। আমি এখন কিভাবে সংসার চালাবো। আর মানুষের ঋণের টাকা পরিশোধ করবো।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ১৮ নং কুশাখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন মানিকের মোবাইলে কল দিয়েও বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। সদর উপজেলার পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান বলেন, গ্রাম পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেয়। যদি কেউ নিয়ে থাকেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ফেলে সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) সদর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ (দফাদার ও মহল্লাদার) নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩৬ জনের বিপরীতে ৪৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ/টিএ