ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

কমলো পেঁয়াজ, রসুন, বেগুন ও কাঁচা মরিচের দাম

প্রকাশনার সময়: ১৭ মার্চ ২০২৪, ১৬:২১

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর এলাকার পাইকারি সবজির বাজরে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ, রসুন, বেগুন, কাঁচা মরিচ ও শুকনো মরিচের দাম কেজিতে কমেছে ১৫ থেকে ৪০ টাকা। এতে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।

রোববার (১৭ মার্চ) সকালে ফুলবাড়ী পৌর এলাকার পাইকারি সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ টাকা কমে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি জাতের রসুন কেজিতে ২০ টাকা কমে ১০০ টাকায়, বেগুন ২০ টাকা কমে ১০ টাকায়, কাঁচা মরিচ কেজিতে ২৫ টাকা কমে ৩০ টাকায়, শুকনো মরিচ কেজিতে ৪০ টাকা কমে ৩০০ টাকায় এবং করলা কেজিতে ২০ টাকা কমে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে ২৫ টাকার কার্ডিনাল আলু কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৩০ টাকা, ৩২ টাকার সাদা পাটনাই কেজিতে ৬ টাকা বেড়ে ৩৮ টাকা, ৩০ টাকার লাল পাটনাই কেজিতে ৬ টাকা বেড়ে ৩৬ টাকা,

৪০ টাকার বিলাতি আলু কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৪৫ টাকা এবং ১৯০ টাকার আদা কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবারের (১৫ মার্চ) তুলনায় শনিবার (১৬ মার্চ) পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ, শুকনো মরিচ, করলাসহ প্রায় বেশিরভাগই সবজি জাতীয় পণ্যের সরবরাহ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।

পাইকারি বাজারের প্রত্যেকটি পাইকারি ব্যবসায়ীর আড়তে শত শত বস্তা ভর্তি পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ, শুকনো মরিচ, করলাসহ অন্যান্য পণ্য মজুদ রয়েছে।

আমদানিকৃত এসব সবজি পণ্যের সঙ্গে সঙ্গে এলাকার কৃষকরাও তাদের খেতের পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ, করলাসহ অন্যান্য সবজি পণ্য বিক্রির জন্য বিপুল পরিমাণে বাজারে তুলেছেন।

পৌরবাজারের পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ী মিহির চন্দ্র বলেন, একদিন আগেও পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। শনিবার (১৬ মার্চ) বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ অনেক বেশি হওয়ায় একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকা কেজিতে নেমে এসেছে। একইভাবে ৩০ টাকা কেজির বেগুন ২০ টাকা কমে ১০ টাকা কেজিতে, ৫৫ টাকা কেজির কাঁচা মরিচ ২০ টাকা কমে ৩০ টাকায় এবং ৩৪০ টাকা কেজির শুকনো মরচি ৪০ টাকা কমে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি ব্যবসায়ী অজয় দত্ত বলেন, মাঠ থেকে পরিপক্ব পেঁয়াজ ও রসুন তুলতে অন্তত ১৮ থেকে ২০ দিন বাকি আছে। কিন্তু লাভের আশায় কৃষকরা তাদের অপরিপক্ব পেঁয়াজ ও রসুন তুলে বিক্রির জন্য বিপুল পরিমাণে বাজারে তোলায় প্রকারভেদে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে কেনা পেঁয়াজ বাধ্য হয়ে লোকসান দিয়ে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হয়েছে। রসুনেও ১০ থেকে ১৫ টাকা লোকসান দিয়ে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হয়েছে।

আড়ৎদার দীপক কুমার বলেন, বর্তমানে পাবনা জেলার বিভিন্ন উপজেলার মোকাম থেকে পেঁয়াজ এবং পাবনা ও নাটোরসহ দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলা থেকে রসুন ফুলবাড়ী পাইকারি বাজারে আসছে।

রোববার (১৭ মার্চ) ফুলবাড়ীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৬৭ টাকা, রসুন ১০২ থেকে ১০৭ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা, শুকনো মরিচ ৩০৫ থেকে ৩১০ টাকা এবং করলা ৩৪ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ তমাল বলেন, উপজেলা প্রশাসনের তদারকি দল মাঠে কাজ করছে। এক্ষেত্রে অসাধু ব্যবসায়ীদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ