ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

প্রধান শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশনার সময়: ০৪ মার্চ ২০২৪, ২০:১৩

কুড়িগ্রামের উলিপুরে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি বন্ধ ও বিধি মোতাবেক স্বচ্ছভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য সোলায়মান আলী, শিক্ষার্থী অভিভাবক নজরুল ইসলাম, এলাকাবাসী রাজু আহম্মেদ।

এ সময় বক্তারা বলেন, গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ২০১৯ সালে অবসর গ্রহণ করলে বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক না থাকায় জেষ্ঠ্যতম ৫ জন শিক্ষককে ডিঙ্গিয়ে বিধি বর্হিভূতভাবে শরীরচর্চার শিক্ষক ফিরোজ ইমাম আমীন কৌশলে পরিচালনা পর্ষদকে ম্যানেজ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহন করেন। দায়িত্ব গ্রহনের পর প্রতিষ্ঠানের আজীবন দাতা সদস্য সোলায়মান আলীকে সরিয়ে দেন। এরপর শিক্ষক কর্মচারীগনের টিউশন ফি, সরকারি অনুদান, বিদ্যালয়ের নিজস্ব মার্কেটের লাখ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে আত্মসাত করেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক পদে গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। যা বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট, নোটিশ বোর্ড এবং অন্য কোথাও প্রচার করা হয়নি। এমনকি শিক্ষক কর্মচারীগনও এ ব্যাপারে অবগত নন। বর্তমানে ফিরোজ ইমাম আমীন প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য নিয়ম বহির্ভূতভাবে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।

বক্তারা স্বচ্ছভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ও টাকা আত্মসাতের তদন্তের দাবি জানান। তারা আরও বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে।

গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফিরোজ ইমাম আমীন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সবকিছু নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে। বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ বিষয়ে তদন্ত করলে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে।

গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসান হাবীব রানা বলেন, প্রতিষ্ঠানে অনিয়ন ও দুর্নীতির কোনো বিষয় নেই। গোপনে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী সব কিছু করা হয়েছে। বর্তমান বিধান অনুযায়ী কোনো কিছু গোপন রাখার সুযোগ নেই।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহতাব হোসেন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে স্থানীয় সুধীজনের মতামতসহ প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করা হবে।

নয়াশতাব্দী/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ