ঢাকা, রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

বেইলি রোড ট্রাজেডি; বুয়েট শিক্ষার্থী লামিশার দাফন সম্পন্ন

প্রকাশনার সময়: ০১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৭

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী লামিশা ইসলামকে ফরিদপুরে দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার (১ মার্চ) বাদ জুমা চকবাজার জামে মসজিদে জানাজা শেষে তাকে জেলা শহরের আলীপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তার স্বজনসহ পরিচিতরা।

নিহত লামিশা অতিরিক্ত ডিআইজি নাসিরুল ইসলাম শামীমের মেয়ে। মৃত্যুর আগে বাবার কাছে সাহায্য চেয়ে ফোন করেছিলো লামিশা। কিন্তু তাকে জীবিত উদ্ধার করা যায়নি।

এর আগে চকবাজার মসজিদে অনুষ্ঠিত জানাজায় সদর আসনের এমপি এ.কে. আজাদ, জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান, পুলিশ সুপার মোর্শেদ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকীসহ সরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মুসল্লিরা অংশ নেন। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ জানাজায় অংশ নিতে ছুটে আসেন।

এদিকে, আলীপুর গোরস্থানে লামিশাকে দাফন শেষে পরে অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আলিমুজ্জামানের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ এবং ইন্সপেক্টর সুনীল কুমার কর্মকারের নেতৃত্বে পিবিআই এর পক্ষ থেকে তার কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে পুলিশের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে লামিসার মরদেহ শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলীর বাড়িতে আনা হয়। এ সময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

নিহত লামিশার চাচা রফিকুল ইসলাম সুমন বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে লামিশা বেইলি রোডের সাততলা ভবনের ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকানে যায় বান্ধবীদের সঙ্গে। এরপর সে ফোন করে তার বাবাকে জানায়, বাবা আগুন লাগছে আমাকে বাঁচাও।

রফিকুল বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়। তবে তারপর থেকে যতবারই আমরা তার মোবাইলে ফোন করেছি, সেটি বন্ধ পেয়েছি। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের রেসক্যু টিম তার মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত লামিশা বুয়েটের মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। ভিকারুন্নেসা থেকে এসএসসি ও হলিক্রস থেকে এইচএসসি পাশ করেন তিনি। দুই বোনের মধ্যে লামিসা বড়। ছোট বোন রাইসা এ বছর ভিকারুন্নেসা কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। অসুস্থতাজনিত কারণে ২০১৮ সালে মারা গেছেন লামিশার মা আফরিনা মাহমুদ মিতু। এরপর ছোট বোন আর বাবাকে আগলে রাখতেন লামিশা।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের সাততলা একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪৬ জন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২২ জন। তারা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

নয়াশতাব্দী/ডিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ