পটুয়াখালীর দশমিনায় চলতি বছরের এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনে নিয়ম ভঙ্গ করে অবৈধভাবে কেন্দ্রে প্রবেশের দায়ে ছয়জন মাদরাসা সুপারকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে কর্তব্যের অবহেলার দায়ে কেন্দ্র সচিবকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে উপজেলা সদরের দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
পরীক্ষা চলাকালীন নিয়ম ভঙ্গ করে কেন্দ্রে প্রবেশের অপরাধে ওই ছয় সুপারের প্রত্যেককে ৫ হাজার করে মোট ৩০ হাজার টাকা এবং কর্তব্যের অবহেলার জন্য কেন্দ্র সচিবকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার পূর্ব আলীপুরা দাখিল মাদরাসার সুপার মো. আলতাফ হোসেন, আদমপুর বেগম রোকেয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আউলিয়াপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. হেলাল উদ্দিন, দক্ষিণ দাসপাড়া আবদুল গণি মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপার কাজী আলতাফ হোসেন, রামবল্লভ দাখিল মাদরাসার সুপার মো. খলিলুর রহমান ও পূর্ব চাঁদপুরা সালেহিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মো. ইলিয়াস মিয়া।
এ ছাড়া কর্তব্যের অবহেলার জন্য দণ্ডপ্রাপ্ত কেন্দ্র সচিব নুরে আলম সিদ্দিকী উপজেলার চরহোসনাবাদ ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, কুরআন মাজিদ ও তাজভিদ বিষয়ের পরীক্ষা চলছিলো। এ সময় কেন্দ্র সচিবের দায়িত্বে অবহেলার সুযোগে ওই ছয় মাদরাসা সুপার পরীক্ষা সংক্রান্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত না থাকা পরেও তারা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত না হয়েও পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রে প্রবেশের দায়ে ছয়জন মাদরাসা সুপারকে ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনের ১১ (গ) ধারা এবং কর্তব্যের অবহেলার জন্য কেন্দ্র সচিবকে একই আইনের ১২ ধারা মোতাবেক অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ