ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

ট্রাক্টরের মাটি সড়কে, বাড়ছে দুর্ঘটনা

প্রকাশনার সময়: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৭ | আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪১

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ট্রাক্টরে বহন করা মাটি সড়কে পড়ে চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে জনসাধারণ। বিভিন্ন হাওর, নদ-খাল থেকে মাটি উত্তোলন জগন্নাথপুরের মহাসড়কসহ অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে এমন অবস্থা বিরাজ করছে। ফলে এসব সড়ক দিয়ে যান চলাচল ও পায়ে হেঁটে যাতায়াতকারীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। এতে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে।

এলাকাবাসীরা জানান, সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়ক, জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ-সিলেট সড়কসহ গ্রামীণ সড়কে প্রতিদিনই সরকারি প্রকল্প ও ব্যক্তিগত কাজে ট্রাক্টর দিয়ে হাওর থেকে মাটি বহন করা হয়। অসংখ্য ট্রাক্টরে দিনরাত মাটি বহনের ফলে সড়কের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে। এসব গাড়িতে মাটি বহনের উপরে ঢাকনা ব্যবহার না করায় প্রতিনিয়ত গাড়ি থেকে সড়কে ফেলা হচ্ছে মাটির আস্তরণ। যার ফলে রোদে ধুলা আর বৃষ্টিতে কাদার সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় উপজেলার লাখ মানুষের।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে উপজেলার নারিকেলতলা গ্রামে কৃষি ইনস্টিটিউটের মাটি ভরাটের কাজ চলছে। মইয়ার হাওর থেকে ট্রাক্টরে করে মাটি আনায় ওই এলাকায় আধা কিলোমিটার অংশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সড়কে ছড়িয়ে রয়েছে মাটি আর মাটি। রোদে শুকিয়ে এগুলো ধুলায় পরিণত হয়। এ সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীবাহী বাস, মোটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ ছোটখাটো যানবাহনে চলাচলকারীরা ধীরগতিতে যাতায়াত করছে। এছাড়া গ্রামীণ সড়কগুলোতে হেঁটেও চলা এখন দুষ্কর।

স্থানীয়রা জানান, এসব কাজের মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রা তাদের কিছু বলার সাহস পান না। নিরুপায় হয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় স্থানীয়দের। শীত মৌসুমে উপজেলার সব সড়ক ও গ্রামীণ রাস্তাগুলোতে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি বহনের ফলে জনসাধারণের চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।

স্কুল শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, সকালে বাসে করে সিলেটে যাওয়ার সময় দেখলাম সড়ক কাদায় পিচ্ছিল হয়ে রয়েছে। খুবই সর্তকতাসহিত চালককে গাড়ি চালাতে হয়েছে। ট্রাক্টর দিয়ে মাটি বহনে সড়কে পড়া মাটিতে এখন মরণ ফাঁদ তৈরি হয়েছে।

ইছগাঁও-নারিকেলতলা ইজিবাইক সমিতির সভাপতি জিলাল উদ্দিন বলেন, এই মৌসুমে আমাদের গাড়ি চালাতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। রোদে ধুলায় গাড়ির সামনে কিছুই দেখা যায় না। অন্যদিকে বৃষ্টিতে কাদায় প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা হচ্ছে।

৩ নম্বর মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ ২ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মাহবুব হোসেন বলেন, এ ভোগান্তির শেষ হবে কবে, আমাদের উপজেলার রাস্তাগুলো নষ্ট হচ্ছে।

উপজেলা নাগরিক ফোরামের নেতা নুরুল হক বলেন, এসব ট্রাক্টর দিয়ে মাটি বহনের ফলে জনসাধারণের যেমন ভোগান্তি পোহাতে হয়। তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে সরকারের। ভারী ট্রাক্টরগুলো চলাচলে গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিয়াদ বিন ইব্রাহিম ভূঞা বলেন, আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ