আতাউর রহমান সানি (৩৩) । কখনও ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া, কখনও বড় চাকুরির, কখনও মোবাইল ফোনে নিজেই নিজের বড়বোন সেজে পরিচয় দিয়ে ঘনিষ্ঠতা করে মোটা টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিতেন। নাটোরের গুরুদাসপুরে তার নামে দুটি প্রতরণা মামলাও রয়েছে ।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) এই প্রতারককে কুষ্টিয়ার একটি আবাসিক হোটেল থেকে গ্রেফতার করেছে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত মো. আতাউর রহমান সানি উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের পশ্চিম নওপাড়া গ্রামের আকবার আলীর ছেলে।
পুলিশ সূত্র জানা যায়, রাজশাহী শাহ মখদুম ও পুঠিয়া থানায় পৃথকভাবে এনজিয়ার ও সিআর মামলা ছিল ২০১৮ ও ১৯ সনের। দুটোই প্রতারণা মামলা ছিল। পুঠিয়ার সিআর মামলার সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি ছিলেন আতাউর রহমান। বার বার অভিযান চালিয়েও এলাকায় না পেয়ে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে গত ১৯ জানুয়ারি গুরুদাসপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর মোশাররফ হোসেন ও সাব-ইন্সপেক্টর ইমরান হোসেন কুষ্টিয়ার একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করেন।
পুলিশ সূত্র আরও জানা যায়, এই আসামি বিভিন্নভাবে নিজের কণ্ঠ বদলিয়ে নারী কণ্ঠ বানিয়ে প্রতারণা করে অর্থ ও স্বর্ণালংকার আত্মসাৎ করে আসছিল। কখনো ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া, কখনো বড় চাকুরির, কখনো মোবাইল ফোনে নিজেই নিজের বড়বোন সেজে পরিচয় দিয়ে ঘনিষ্ঠতা করে মোটা টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিতেন। প্রতারণাগুলো অধিকাংশই রাজশাহী, পাবনা, কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জ ও ঢাকায় করে আসছিল।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জল হোসেন জানান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. আতাউর রহমান সানিকে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়া থেকে গ্রেফতার করে। শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ