শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় গারো পাহাড় এলাকায় বন্যহাতির উপদ্রব এখন চরমে। বন্যহাতির দল এখন কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে দিনের বেলায় গহীন পাহাড়ে অবস্থান করে আর সন্ধ্যা হলেই খাবারের জন্য নেমে আসছে লোকালয়ে। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে সারা এলাকায়।
জানা যায়, গত ২ সপ্তাহ ধরে ১৭/১৮টি বন্যহাতির একটি উপদল উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্ক এলাকায় অবস্থান করছে। সন্ধ্যা নেমে আসলেই দলটি বুরুঙ্গা-কালাপানি এলাকার সীমান্ত সড়কে অবস্থান নেয়। এতে চলাচলে বিঘ্ন ঘটে ওই সড়কে। ফলে সন্ধ্যার পর ওই সড়ক পথ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে বন বিভাগ।
এদিকে উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় এলাকার বোরো ধান চাষীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। চলমান বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা। গত কয়েকদিন যাবত পাহাড়ের ঢালে বোরো ধান রোপণ করতে শুরু করেছেন এলাকার কৃষকরা। সদ্য রোপিত বোরো ধানক্ষেত পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে দেয় বন্যহাতির দল। দীর্ঘদিন যাবত বন্যহাতির দল পাহাড়ি এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে আসলেও অত্যাচার বন্ধে সরকারিভাবে এখনো পর্যন্ত কোন প্রকার স্থায়ী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে এলাকাবাসী জানান।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে দেখতে গেলে কথা হয় বুরুঙ্গা কালাপানি গ্রামের কৃষক মোবারক হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, ‘চলমান বোরো আবাদে ধান রোপণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। খেত লাগানোর পর কবে যেন হাতির দল নষ্ট করে দেয়। এর আগেও বন্যহাতি আমার ব্যাপক ক্ষতি করেছে।’
ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সম্প্রতি মধুটিলা ইকোপার্ক এলাকার মাজারের টিলানামক পাহাড়ের গভীর জঙ্গলে অবস্থান করছে বন্যহাতির একটি দল। ১৭/১৮টির এই উপদলটিতে ৪/৫টি হাতি শাবক রয়েছে। এরা ইতোমধ্যে তাণ্ডব চালিয়ে বাতকুচি বন বিটের দীর্ঘ মেয়াদি মিশ্র বাগানের বেশ কিছু গাছ ভেঙ্গে নষ্ট করেছে। সন্ধ্যা হলেই হাতিগুলো পার্কের পাশের সীমান্ত সড়কে চলে আসছে। এতে ওই সড়কে যাতায়াতকারীদের জীবনের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই সন্ধ্যার পর সীমান্ত সড়ক এড়িয়ে চলাচল করতে বলা হয়েছে।’
নয়াশতাব্দী/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ