ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের আলতাফ গোলন্দাজ ডিগ্রি কলেজ মাঠে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাহারি পিঠার উৎসব ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ‘নিজের বলার মতো একটা গল্প’ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৬০ ধরনের পিঠা নিয়ে এ উৎসব ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
উৎসবের উদ্বোধন করেন আলতাফ গোলন্দাজ ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. মাহবুবুল আলম খান।
কলেজের শিক্ষার্থীরা বাড়ি থেকে পিঠা বানিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। অনেকে আবার পিঠা বিক্রি করে নগদ টাকাও পেয়েছেন। পিঠা উৎসবকে কেন্দ্র করে কলেজ ছিল বেশ মুখরিত। উৎসবটি কলেজের নবীন-প্রবীণ এবং প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীর মিলনমেলায় পরিণত করে।
উৎসবে আসা প্রাক্তন কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, এই উৎসবে এসে পুরোনো অনেক বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়। গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া অনেক পিঠা উৎসবে এসে দেখা গেল। তাদের প্রত্যাশা উৎসবটি যেন প্রতিবছরই হয়।
এ উৎসবের মূল আয়োজক আলতাফ গোলন্দাজ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক জুলেখা খাতুন সোমা বলেন, এই আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল স্টুডেন্ট অবস্থায় কিছু করা যায়, এমন একটা পরিবেশ তৈরি করা, স্টুডেন্টদের মোটিভেট করা। কলেজ কতৃপক্ষ আমার এই উদ্যোগকে সাপোর্ট করেছেন বলেই উৎসবটি সফল হয়েছে। আমাদের কাজ শিক্ষার্থীদের মোটিভেট করা, যাতে পড়াশোনার পাশাপাশি তারা কিছু করতে পারে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গফরগাঁও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক বিপ্লব, সাংবাদিক শেখ আব্দুল আওয়াল, কলেজের সহকারী অধ্যাপক জুলেখা খাতুন সোমা, মো. আশরাফুল আলম, একে এম সারোয়ার জাহান, মোস্তাসিমুর রহমান খান বুলবুল, উম্মে কুলসুমসহ আরও শিক্ষকরা।
উপাধ্যক্ষ মো. মাহবুবুল আলম খান বলেন, উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের এই উৎসবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া সুস্বাদু পিঠা ফিরিয়ে আনা। এতে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন পিঠার সঙ্গে পরিচিতি হতে পেরেছে।
দুধ পুলি, পাটিসাপটা, দুধ চিতই, কস্তুরি, নারকেল পুলি, মাংস, চ্যাপা, নারকেল নারু, মাছের পুলি, পায়েস, হাতের তৈরি সেলাই, মালাই চপ, সুজির চপ, সন্দেশ, ম্যারা, বিবিখানাসহ এই উৎসবে ৬০ ধরনের পিঠা ছিল।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ