ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নাটোরে ছাত্রলীগের দুপক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ১০ 

প্রকাশনার সময়: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৭

নাটোরে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতিসহ দুপক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) দুপুরে দিকে নাটোর শহরের কান্দিভিটুয়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নাটোর সদর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবাষিকী উপলক্ষ্যে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ছাত্রলীগের এক পক্ষের নেতাকর্মীরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছিল। এসময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহীনসহ তাদের অনুসারী নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনে প্রবেশ করতে চাইলে এক পক্ষ তাদের বাধা দেয়। এতে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ দুপক্ষকে থামানোর চেষ্টা করলেও এসময় ছাত্রলীগ তিন রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ছাত্রলীগের দুপক্ষের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গোলাম রাব্বানী শেখ বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সকালে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আমরা কেক কেটে পালন করছিলাম। অনুষ্ঠান শেষে আরেকটি অনুষ্ঠানে যেতে বের হওয়ার সময় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পার্টি অফিসে আসছেন জানতে পারি। আমরা তাদের বলি, পার্টি অফিসে নৌকা বিরোধী কোনো প্রোগ্রাম করতে পারবেন না। আপনারা অন্য জায়গায় প্রোগ্রাম করেন। এ সময় তারা উত্তেজিত হয়ে আমাদের গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহীন বলেন, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে ছাত্রলীগ সভাপতিসহ আমরা পার্টি অফিসে যাই। এ সময় ছাত্রলীগের নামধারী সন্ত্রাসীরা অর্তকিতভাবে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে সভাপতিসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমাদের দাবি পুলিশ সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

নাটোর সদর থানার কর্মকর্তা ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ বিষয়ে কেউও থানায় অভিযোগ করেননি।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ