ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফ্যাসিবাদ আবার মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশনার সময়: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:১৩ | আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:১৫

নেতিবাচক কথা-বার্তায় কারণেই ফ্যাসিবাদ আবার মাথাচড়া দেয়ার চেষ্টা করছে, বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন যে, বিভিন্ন রকম নেগেটিভ কথাবার্তার কারণে ফ্যাসিবাদ কিন্তু মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদেরে কিছু কিছু মিডিয়া তাকে প্রোমোট করছে। যেটা আমি মনে করি কখনই জনগণের জন্য শুভ বয়ে আনবে না। আমি অনুরোধ করব, যারা এই ধরনের প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা দয়া করে এটাকে বন্ধ করেন। আমি এটাও অনুরোধ করব তরুনদেরকে যুবকদের যে আপনারা এতোবড় একটা অসাধ্য সাধন করেছেন এই প্রবণতা যেন বন্ধ হয় তার জন্য আপনারা কাজ নেবেন।

শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে ন্যাশনাল ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ পার্লামেন্ট-২০২৪’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহসিচিব বলেন, আমাদের সামনে যে সংকট আছে সেই সংকট উত্তরণের একমাত্র পথ ধর্য্য ধরে আমাদের যে কাজগুলো সেই কাজ সংস্কার এবং নির্বাচন এগুলো যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে পারি সেই কাজগুলো আমাদের করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারকে সময় দিতে হবে। তাদেরকে আমরা দায়িত্ব দিয়েছি… তারা কাজ করছেন। অনেকে বলেন যে… আমি অবাক হই যে, মিডিয়ার মধ্যে অনেকেই তারা কোনো সাফল্য দেখতে পান না। এই তিন মাস সময়ের মধ্যে এরা অনেক কাজ করেছে। অস্বীকার করা তো উপায় নেই। সংস্কার করার জন্য তারা কমিশন গঠন করেছে, আইন পরিবর্তন করেছে, আইনগুলো নিয়ে কাজ করছে। বেশ কিছু ফ্যাসিবাদের দোসর তাদেরকে আটক করেছে… বিচারের জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে। এই বিষয়গুলো কিছু করছে। সব কিছু একসাথে সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যে জঞ্জাল সৃষ্টি করে গেছে সেই জঞ্জালগুলোকে সরিয়ে একটা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন অন্তবর্তীকালীন সরকার…যাতে করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা এই যুবকদের চাওয়া, তরুণদের চাওয়া যে নতুন বাংলাদেশ সেটা তৈরি করতে পারি। আমরা নির্বাচনের কথা বার বার বলছি… অনেকে প্রশ্ন করেছেন আপনি এতো নির্বাচনের কথা বলেন কেনো? কারণ আমি মৌলিকভাবে গণতন্ত্র বিশ্বাসী একজন মানুষ। আমি বিশ্বাস করি যে, জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো সংস্কার কখনোই সফল হতে পারে না। জনগণের অ্যাকটিভ পার্টিসিপেশন সম্ভভ একটা নির্বাচিত পার্লামেন্টের মাধ্যমে। ও্টা যদি কার্য্কর করা যায় তাহলে পুরো বিষয়গুলো গণতান্ত্রিক চর্চার মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব হয়। সমস্যাটা ওই জায়গায় যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চা না হওয়ার কারণে এখানে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে উঠেনি… প্রত্যেকের মধ্যে কেমন যেন একটা স্বৈরতান্ত্রিক চিন্তাভাবনা একদম বাসা বেঁধে গেছে।

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ