ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মহররম ১৪৪৬

ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় ছাত্রদলের ৬ নির্দেশনা

প্রকাশনার সময়: ২৬ মে ২০২৪, ২০:২০

ঘূর্ণিঝড় রেমালের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি রোধে ও জানমালের নিরাপত্তায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৬ মে) ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

ক্রমান্বয়ে আরও শক্তি সঞ্চয় করে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশের যেকোনো দুর্যোগে, দুর্বিপাকে কিংবা সংকটে এক‌টি দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সবসময়ই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। রেমালের বিধ্বংসী প্রবণতা থেকে উপকূলের মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট ইউনিটসমূহের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রতি নিম্নোক্ত নির্দেশনা প্রদান করা হলো-

১. উপকূলীয় এলাকার সাধারণ মানুষকে রেমালের ধ্বংসাত্মক প্রবণতা সম্পর্কে জরুরিভাবে সতর্ক করার প্রয়োজনে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে।

২. সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার কাজে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হবে। গবাদিপশুগুলোকেও নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে হবে। বাঁধ সংস্কারের কাজে সহযোগিতা করতে হবে।

৩. শুকনো কিংবা রান্না করা খাবার, খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রস্তুত রাখতে হবে।

৪. ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধারকাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য প্রতিটি ইউনিটে অন্তত এক‌টি রেসকিউ টিম প্রস্তুত রাখতে হবে।

৫. ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে হবে।

৬. নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।

নয়াশতাব্দী/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ