ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

পাইলট আসিমের জানাজা সম্পন্ন

প্রকাশনার সময়: ১০ মে ২০২৪, ০৮:৫৬ | আপডেট: ১০ মে ২০২৪, ০৮:৫৮

কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের নিহত পাইলট আসিম জাওয়াদের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রামে বিমান বাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটিতে সহকর্মীদের উপস্থিতিতে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় আসিম জাওয়াদের বাবা ডা. মো. আমান উল্লাহ, বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বিমান ঘাঁটি জহুরুল হকের এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে এম শফিউল আজম উপস্থিত ছিলেন।

জানাজার পর আসিমের স্বজন ও সহকর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জের সেওতা কবরস্থানে তাকে দাফন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, সন্ধ্যায় প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত স্কোয়াড্রন লিডার আসিমের মরদেহ বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে নেওয়া হলে শোকাবত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। কর্মজীবনে সৎ ও ন্যায়পরায়ণ ছিলেন বৈমানিক জাওয়াদ।

শুক্রবার (১০ মে) সকাল ১০টায় বিমান বাহিনীর বিএএফ ঘাঁটি বাশার প্যারেড গ্রাউন্ডে শোকজনিত প্যারেড অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আইএসপিআর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এর আগে যান্ত্রিক ত্রুটিতে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। সে সময় বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে বিমানবন্দরের পাশের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে বিমানটিকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যান দুই পাইলট। এর ফলে অনেক বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায় স্থানীয় মানুষজন।

আইএসপিআর আরও জানায়, এ দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা দুই পাইলটের মধ্যে আসিম জাওয়াদ (৩২) নামে একজন মারা গেছেন। তিনি বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একই দুর্ঘটনায় আহত হন পাইলট সোহান। তিনি বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার হিসেবে কর্মরত। মারা যাওয়া স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার গোপালপুর গ্রামের ড. আমান উল্লাহ ও নীলুফা আক্তারের ছেলে।

তিনি ২০০৭ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে এসএসসি, ২০০৯ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ২০১২ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্ থেকে বিএসসি (এ্যারো) পাশ করেন। ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন এবং ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর ক্যাডেটদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান সোর্ড অব অনার প্রাপ্তিসহ জিডি (পি) শাখায় কমিশন লাভ করেন।

চাকরিকালীন সময়ে আসিম বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ঘাঁটি ও ইউনিটে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি পেশাদারী দক্ষতা ও সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ 'মফিজ ট্রফি', 'বিমান বাহিনী প্রধান ট্রফি' ও বিমান বাহিনী প্রধানের প্রশংসাপত্র লাভ করেন। এছাড়াও ভারতীয় বিমান বাহিনীতে কোর্সে অংশগ্রহণ করে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ 'Chief of Air Staff's Trophy for Best in Flying (Indian Air Force)' অর্জন করেন।

নয়াশতাব্দী/ডিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ