ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

ট্রেনে আগুনের মূল হোতা নবীউল্লাহ নবী: ডিবি প্রধান 

প্রকাশনার সময়: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪৫

রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে গতকাল শুক্রবার রাতে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার নৃশংসতার পেছনে দায়ীদের খুঁজে বের করতে রাত থেকেই তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দারা। আজ শনিবার (৬ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১২টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, এ ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ডিবি প্রধানের দাবি, দু'দিন আগে অনলাইন বৈঠকে এ পরিকল্পনা হয়। এতে ছিলেন দক্ষিণ যুবদলের ৮টি টিম লিডার। পরামর্শ ও অর্থদাতাদের অন্যতম ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবী। কাজী মনসুরের নামে একজনকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে মিলেছে এ সব তথ্য।

তিনি বলেন, ট্রেনে আগুন লাগার আগে বিএনপির ১০/১১ জন ভিডিও কনফারেন্স করেন। সেখানে তারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছুর পরিকল্পনা করেন। বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের পরিকল্পনা হিসেবে বিএনপির হাইপ্রোফাইল নেতারা ভিডিও কনফারেন্স করেন। কনফারেন্সে প্রথমে আসেন মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনাম। এরপর আসেন সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ গাফফার, ইকবাল হোসেন বাবলু, একজন দপ্তর সম্পাদক ও কাজী মনসুর।

ডিবি হারুন বলেন, ‘তারা ভিডিও কনফারেন্সে এসে বৃহত্তর ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী ট্রেনে বিশেষ করে নরসিংদীর কাছে সুবিধাজনক স্থানে অগ্নিসংযোগ করার কথা বলেন। আরেকটি স্থানও তারা নির্ধারণ করেন। কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ লাইনের আপ-ডাউনে সুবিধাজনক স্থানে যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন লাগিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরিকল্পনা করেন।’

‘এ ছাড়া, ভিডিও কনফারেন্সে থাকা আরও তিনজন আগুন লাগাতে পারবেন বলে জানায়। তারা ২০১৩-১৪ সালে বিভিন্ন এলাকায় বোমা নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগ করেছিল। তারা মিলে যাত্রাবাড়ীর আশপাশের এলাকা থেকে ট্রেনটিতে অগ্নিসংযোগ করে।’ যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের রিমান্ডে এনে ট্রেনে অগ্নিসংযোগের বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

নয়াশতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ